গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন:
গাজায় পোলিও টিকা কর্মসূচির জন্য নির্ধারিত ৮ ঘন্টার অস্ত্র বিরতির সময় পার হতে না হতেই ভয়াবহ আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরায়েল। আবারো হামলা টার্গেট হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত স্কুল। রবিবার দেইর আল বালাহর আল যাইতুনে ব্যাপক আগ্রাসন চালানো হয়। সাফাত স্কুল ভবনের হামলায় কমপক্ষে 11 জনের প্রাণ গেছে। কয়েক হাজার বাস্তচ্যুত মানুষ ওই স্কুলটিতে ঠাই নিয়েছিল। স্কুলটিতে স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
অন্যদিকে একটি গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গাজায়। প্রায় ১১ মাস ধরে চলা এই ইসরায়েলের আগ্রাসনে মৃত্যু হয়েছে ৪০ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি আর আহত প্রায় ৯৪ হাজারেরও বেশি।
বিক্ষোভ
সহিংসতায় উত্তাল ইসরাইল
শনিবার রাফার টানেল থেকে ৬ জন জিম্মি ইসরাইলের মরদেহ উদ্ধারের পর
বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ইসরাইলিরা। রাজ পথে নেমে
আসে লাখ লাখ মানুষ। প্রায় ১১ মাস ধরে গাঁজায়
জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে প্রতি সপ্তাহে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে ইসরাইলিরা।
তবে এবার আরও বৃহৎ পরিসরে প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। ইজরায়েলের সবচেয়ে বড় শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে দেশ জুড়ে চলছে ধর্মঘট সাড়া দিয়েছে সব শ্রেণীর পেশার মানুষ। বয়কট করা হয়েছে সকল অফিস কলকারখানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু’র প্রতি দ্রুত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
রোববারের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে ৫ লাখের বেশি
ইসরাইলি। মিছিলে বাধা দিলে আন্দোলনকারীদের
সাথে দাফায় দফায় সংঘর্ষ হয় পুলিশের। বিক্ষোভকারীদের
ছাত্রভঙ্গে লাঠিচার্জ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ আটক করা হয় অনেককে।
বন্দী ৬ জিম্মির মৃত্যুর পর অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক মহলেও চাপ বাড়ছে ইজরাইলি প্রধানমন্ত্রীর উপর। নেতানিয়াহু’র সরকারকে ডেথ ক্যাবিনেট আখ্যা দিয়েছেন বিরোধী নেতা ইয়ার লাবিদ।
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি তাগিদ দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস লুক জন।