গ্রামীণ সংস্কৃতি ও নগর বা শহুরে সংস্কৃতি বলতে কী বুঝ? বাংলাদেশে গ্রামীণ সংস্কৃতির ও নগর বা শহুরে সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর

গ্রামীণ সংস্কৃতি ও নগর বা শহুরে সংস্কৃতি বলতে কী বুঝ? বাংলাদেশে গ্রামীণ সংস্কৃতির ও নগর বা শহুরে সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর



গ্রামীণ সংস্কৃতি ও নগর বা শহুরে সংস্কৃতি বলতে কী বুঝ? বাংলাদেশে গ্রামীণ সংস্কৃতির ও নগর বা শহুরে সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর.

বাংলাদেশ গ্রামভিত্তিক দেশ। এদেশের অধিকাংশ জনগণই গ্রামে বাস করে। গ্রামের প্রধান পেশা হলো কৃষি। হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতি। বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতি গড়ে ওঠেছে। সুপ্রাচীন কাল থেকে বাংলাদেশের দেশজ সংস্কৃতিতে নানা সংমিশ্রণ ঘটেছে। তাই বাঙালিকে সংকর জাতি বলা হয়ে থাকে। এ দেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। মূলত সবুজ পলিমাটি পরিবেষ্টিত গ্রামবাংলাই হচ্ছে বাংলাদেশের প্রকৃত পরিচয়।

গ্রামীণ সংস্কৃতি :

প্রাকৃতিক পরিবেশে গ্রামীণ জনগণের সহজসরল জীবনব্যবস্থায় সামাজিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস, আচার আচরণ, মূল্যবোধ প্রভৃতির ভিত্তি গড়ে ওঠা সংস্কৃতিই হচ্ছে গ্রামীণ সংস্কৃতি। আবহমান কাল থেকে গ্রামবাংলার বৃহৎ জনগোষ্ঠীতে এই বিচিত্রধর্মী ও বহুমুখী সংস্কৃতি গড়ে ওঠেছে।

সমাজবিজ্ঞানী ই.এস বোগার্ডাস (E.S. Bogardus) তার The Development of Social Thought' বইয়ে বলেন, " মানবসমাজের শৈশবকালই হচ্ছে গ্রামীণ গোষ্ঠী ।"

অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও গ্রাম বা পল্লি সমষ্টি হচ্ছে সবচেয়ে প্রাচীন ও স্থায়ী মানব সমষ্টি । একে কেন্দ্র করে প্রাচীন বাংলার কৃষিভিত্তিক সমাজ, সংস্কৃতি ও সভ্যতার ক্রমবিবর্তন সংঘটিত হয়েছে। এভাবেই মানুষ গ্রামে কৃষিনির্ভর জীবিকানির্বাহ করে গ্রামীণ সমাজসংস্কৃতিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে।


বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য : 

নিম্নে বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হলো-


১. সারল্য ও সুসম্পর্ক :

সহজ-সরল জীবনযাপন ও মানুষের মধ্যে সুসম্পর্ক বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির মূল বিশেষত্ব। তাদের জীবনধারা মোটামুটি শান্তিময়, যেখানে অসততা, প্রতারণা ও ভণিতা নেই।

২. কৃষিভিত্তিক বৃত্তি :

বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কৃষি প্রধান পেশা। মূলত এখানকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কৃষিকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়। তবে অন্যান্য উপার্জনের উপায়গুলো কৃষিকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হয়।


৩. খাদ্যাভাস : 

মাছে ভাতে বাঙালি কথাটি বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতিতে প্রবাদ হয়ে ওঠেছে। বাঙালিদের প্রধান খাদ্য ভাত এক সময় আমাদের গ্রামের প্রধান সম্পদ ছিল গোলাভরা ধান গোয়ালভরা গরু আর পুকুরভরা মাছ। গ্রামবাংলার এ ঐতিহ্য এখন পুরোপুরি টিকে না থাকলেও গ্রামের মানুষ ভাত আর মাছ পেলে খুব খুশি হয়।

৪. পোশাক পরিচ্ছদ : 

গ্রামীণ মানুষের পোশাক ভিন্ন ধরনের। লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া এবং মেয়েদের জন্য শাড়ি। এসব পোশাক গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ।

৫. বিভিন্ন উৎসব : 

বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনে বিভিন্ন উৎসব আমরা লক্ষ করি। যেমন- ধান কাটার উৎসব, হিন্দুদের দোল উৎসব, পিঠা খাওয়ার উৎসব, বিশেষ বিশেষ ধর্মীয় উৎসব প্রভৃতি

৬. ভাষা :

ভাষা নিঃসন্দেহে ভাব প্রকাশের মাধ্যম। আমাদের এদেশের একই বাংলা ভাষা বিভিন্নভাবে উচ্চারিত হয়। সিলেটের লোকেরা যে ভাষায় কথা বলে বরিশালের লোকেরা সেভাবে কথা বলে না। একেক অঞ্চলের ভাষায় প্রকাশভঙ্গি ভিন্ন রকম হয়।

৭. ধর্ম : 

বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজজীবনে ধর্মের প্রভাব অনস্বীকার্য। গ্রামগঞ্জের অধিকাংশ মানুষ তার নিজ নিজ ধর্ম পালন করে। ধর্মীয় উপাসনালয়ে গমন, ধর্মীয় পোশাক পরিধান এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে গ্রামের মানুষ অত্যন্ত আগ্রহী।

৮. বাসস্থানের ধরন : 

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে। গ্রামগুলোতে যেখানে যে প্রকারের গৃহ নির্মাণসামগ্রী পাওয়া যায়, সাধারণত সেখানকার বাড়িঘর সে উপাদানের তৈরি। চালাঘর গ্রামের প্রধান আকর্ষণ। তবে বর্তমানে আধুনিকতা ও সচ্ছলতার দরুন গ্রামে ইটের ঘরও নির্মাণ করতে দেখা যায়।

৯. আমোদ প্রমোদ বা অবসর বিনোদন : 

গ্রামবাংলার মানুষ অল্পে সন্তুষ্ট। হাসিখুশি ও আমোদ প্রমোদের মধ্যেই তারা দিন কাটিয়ে দেয়। এক সময়ে গ্রামে পুঁথি পাঠের আসর, গল্প কাহিনি, জারিগান, পল্লি গান, মারফতি গান, যাত্রা প্রভৃতি অবসর বিনোদনের মোক্ষম উৎস ছিল ।

১০. শিক্ষা ও সংস্কৃতি : 

জাতি গঠনের মূল উৎস হচ্ছে শিক্ষা। একটি উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে এ প্রত্যাশা নিয়ে বাঙালি জাতি এগিয়ে যাচ্ছে। গ্রামের ছেলেমেয়েরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে।

১১. যৌথ পরিবার ব্যবস্থা : 

গ্রামীণ সংস্কৃতিতে যৌথ পরিবার ব্যবস্থার প্রাধান্য লক্ষ করা যায়। এখানে একক পরিবার খুব একটা দেখা যায় না। যৌথ পরিবার প্রথা কৃষিকাজের জন্যও উপযোগী।

১২. কুসংস্কার : 

গ্রামীণ সংস্কৃতিতে কিছু রক্ষণশীলতা বা কুসংস্কার রয়েছে। বিশেষ করে ধর্মীয় গোঁড়ামি এর মধ্যে অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বাল্যবিবাহের প্রচলন গ্রামে লক্ষ করা যায়।


উপযুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য এদেশের গ্রামীণ চিত্রকে তুলে ধরেছে। বস্তুত বাংলাদেশের সংস্কৃতি বলতে প্রধানত গ্রামীণ সংস্কৃতিকেই বোঝানো হয়। গ্রামীণ সংস্কৃতি হলো সহজ, সরল ও আড়ম্বরহীন এবং জীবন্ত। বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির উপর্যুক্ত বৈশিষ্ট্যাবলির মধ্যেই নিহিত রয়েছে বাংলাদেশের পরিপূর্ণ রূপ বা পূর্ণ পরিচিত।


নগর বা শহুরে সংস্কৃতি : 

শহুরে সংস্কৃতি বা নগর সংস্কৃতি হচ্ছে নগর বা শহর সমষ্টির (Urban Community) জনগণের নিজস্ব সংস্কৃতি ও জীবনপ্রবাহ । নগরের মানুষের জীবনযাত্রার যেসব ভাবগত ও বস্তুগত বিষয়াদি অপরিহার্য তাকেই শহুরে সংস্কৃতি বলে।

প্রামাণ্য সংজ্ঞা :


অধ্যাপক আর বি মন্ডল (Prof. R. B. Mandal) বলেন, "নগরসংস্কৃতি হলো নগর জীবনের এতদ্ব্যতীত মানুষের নগরকেন্দ্রিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন কুশলতার কাণ্ডজ্ঞান বিশিষ্ট নানা দিকের সমষ্টি।"

সমাজবিজ্ঞানী রিচার্ড জে. গিলস এবং এন লিভিং তাদের 'Sociology' গ্রন্থে ছয়টি উপাদানের কথা উল্লেখ করেন, যে উপাদানগুলোর সমন্বয়ে নগর সংস্কৃতি তৈরি হয়। উপাদানগুলো হচ্ছে বিশ্বাস, মূল্যবোধ, আদর্শ, প্রতীক, ভাষা এবং প্রযুক্তি।

নগর সংস্কৃতি বা শহর সংস্কৃতি হচ্ছে শহরের মানুষের আয়ত্ত্বকৃত আচার আচরণ, অভ্যাস, বিশ্বাস, রুচিবোধ, মূল্যবোধ প্রভৃতির সমন্বয় ।

বাংলাদেশে নগর বা শহুরে সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য :


বাংলাদেশে নগর বা শহুরে সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য নিম্নে আলোচনা করা হলো—

১. শহুরে মানসিকতা ও ধ্যানধারণা : 

শহরে নানা স্থানে নানারকম মানুষ শিথিল সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পারস্পরিক সম্পর্ক অকৃত্রিম না হয়ে নিজ প্রয়োজনে বা স্বার্থমুখী হয়। কঠোর জীবনসংগ্রামে অভ্যস্ত শহুর মানুষ প্রকৃতিগতভাবে আত্মকেন্দ্রিক। এরূপ মানসিকতায় মানুষের ধ্যানধারণাও যুক্তিবাদী প্রকৃতির। কর্ম, স্বার্থ, সময় সংক্ষিপ্ততা ও ব্যস্ততার মধ্যে জীবনযাপন করতে হয় বলে শহুরে মানুষের এগুলোর সাথে সংগতি রেখেই জীবন প্রণালি গড়ে ওঠে ।

২. বাসগৃহ : 

বাংলাদেশে নাগরিক সুবিধার পর্যাপ্ততায় কতিপয় বস্তির কথা বাদ দিলে শহুরে অধিকাংশ  এলাকার বাসগৃহ চাকচিক্যময় । তাছাড়া নগরের বহুতল ভবনের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৩. খাদ্য : 

বাংলাদেশের শহরের অধিকাংশ মানুষ সাধারণত দুপুর ও রাতে ভাত এবং সকালে নাস্তা ও চা নিয়মিত খাদ্যরূপে গ্রহণ করে থাকে । তাছাড়া অনেক সচ্ছল পরিবার মাংস, রুটি ও ফলমূলকেও তাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

৪. পোশাক-পরিচ্ছদ : 

আধুনিক বিদেশি পোশাকের অনুসরণে শহরের পুরুষরা সাধারণত শার্ট প্যান্ট ও মেয়েরা সালোয়ার, কামিজ বা শাড়ি, ব্লাউজ ও পেটিকোট পরিধান করে। তাছাড়া সাজগোজ ও রূপচর্চায় শহুরে মহিলাদের সচেতন থাকতে দেখা যায় ।

৫. বৈচিত্র্যময় পেশা ও জীবনধারা : 

বৈচিত্র্যময় অকৃষি পেশা ও জীবন জীবিকা বাংলাদেশের নগর সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য। শহরে বিভিন্ন পেশাদারির লোক রয়েছে। যেমন— চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, অধ্যাপক, দক্ষ কর্মকর্তা প্রভৃতি ।

৬. শিল্পায়ন : 

বর্তমান নগর সংস্কৃতির অত্যাবশ্যকীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে শিল্পায়ন। মনীষী L Mumford এর ভাষায়, "Industrialization is key to the present urban and city civilization." বাংলাদেশে দ্রুত নগরায়ণের সাথে শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে। ফলে নগর সংস্কৃতির প্রভাবও বেশি।

৭. শিক্ষাকেন্দ্র : 

নগর সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে শিক্ষাকেন্দ্র ও জ্ঞানবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চা। শিক্ষাকেন্দ্রের সাথে রয়েছে গ্রন্থাগার, পাঠকক্ষ, শিক্ষা ও বিজ্ঞান সমিতি প্রভৃতি। শহুরে সংস্কৃতিতে এরূপ পাঠাগারে একাডেমিক পড়াশোনা, পত্র পত্রিকা পড়া ও গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে।

৮. বিনোদন সংস্কৃতি : 

বিনোদন সংস্কৃতি বর্তমানে শহরকেন্দ্রিক। বাংলাদেশের শহরের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যেমন— সংগীত অনুষ্ঠান ও নাট্যানুষ্ঠান, আধুনিক খেলাধুলা যেমন- ক্রিকেট, দাবা, হকি ইত্যাদি। বিভিন্ন মেলা উৎসব যেমন- বইমেলা, শিল্প বাণিজ্য মেলা, বৈশাখী মেলা এবং সিনেমা দেখা ইত্যাদি নিয়ে শহুরে বিনোদন সংস্কৃতি গড়ে ওঠেছে।

৯. রাজনৈতিক সংস্কৃতি : 

রাজনৈতিক সংস্কৃতি বর্তমান শহরে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য। একে কেন্দ্র করে সারা দেশে রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের শহরে রাজনৈতিক সংস্কৃতির চলমান ধারা গণতন্ত্র অনুশীলনকেন্দ্রিক। সে জন্য এক্ষেত্রে জনসভা, পথসভা, মানববন্ধন, হরতাল, ধর্মঘট ও বিক্ষোভ সমাবেশ বিদ্যমান।


গ্রামীণ সংস্কৃতি ও নগর বা শহুরে সংস্কৃতি বলতে কী বুঝ? বাংলাদেশে গ্রামীণ সংস্কৃতির ও নগর বা শহুরে সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর|

১০. আত্মীয় সম্পর্ক বা বন্ধন : 

বাংলাদেশের শহুর সমাজব্যবস্থায় আত্মীয় সম্পর্ক বা বন্ধন যথেষ্ট শিথীল। নিজ নিজ স্বার্থে সবাই চলমান। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার দৌড়ে শহুরে মানুষজন আত্মীয়স্বজনদের এমনকি নিজ পরিষ্কারকও যথেষ্ট সময় দিতে পারে না।

১১. অর্জিত মর্যাদা : 

বাংলাদেশের নগর সংস্কৃতিতে আরোপিত মর্যাদার পরিবর্তে শিক্ষাদীক্ষা, জ্ঞান, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা বলে অর্জিত মর্যাদার গুরুত্ব বেশি। যোগ্যতা অনুযায়ী ব্যক্তি তার মর্যাদা পেয়ে থাকে এবং সে অনুযায়ী তার অবস্থান তৈরি হয় ।

১২. আধুনিকতা : 

শহরের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিক ফলে তারা পরিবর্তনে বিশ্বাসী, কুসংস্কারমুক্ত, সংস্কারপন্থি ও বাস্তববাদী। তাই তারা অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্যশীল !

১৩. ধর্ম কর্ম : 

নগর জীবনে আধুনিক যুক্তিবাদী ভাবধারায় উন্মেষ ঘটায় ধর্ম মুখাপেক্ষিতার চেয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রবল হয়ে ওঠে বৈশ্বিক ঘটনাপ্রবাহ এবং নিজ ধর্ম সম্পর্কে জানার আগ্রহ দেখা দেওয়ায় এদেশে ধর্মানুরাগিতা বেড়েছে।

সার্বিক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বাংলাদেশে শহুরে সংস্কৃতি নগর জীবনযাত্রার এক বিশেষ বিচিত্রতা বহন করছে। সে জন্য এর রূপবৈচিত্র্য ও জটিলতা বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে । সমাজ প্রতিনিয়ত নতুন আবিষ্কার এবং এর নিজস্ব গতিধারায় পরিবর্তিত হচ্ছে। সমাজের এই নতুন নতুন আবিষ্কার ও পরিবর্তনে প্রভাব নগর সংস্কৃতির বিভিন্ন অংশে ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব ফেলেছে।


Post a Comment

Previous Post Next Post